swami gautamananda
সংকীর্ণ মনোভাবের জন্যই চারদিকে যুদ্ধ হচ্ছে: স্বামী গৌতমানন্দ

জলপাইগুড়ি: স্বামীজীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মৃতি ফলকের উন্মোচন হল। জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে চারবার এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে স্বামীজীর ফলকের উদ্বোধন করেন। স্বামীজী জলপাইগুড়ি চার বার এসেছিলেন। জানা যায়, ১৮৯৭ সালে দুই বার জলপাইগুড়ি টাউনে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। পাশাপাশি ১৮৯৮ একবার ও ১৯০১ সালে একবার এসেছিলেন বিবেকানন্দ। দার্জিলিং মেইলে করে কোলকাতা থেকে দার্জিলিং আসার পথে জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে চারবার আসেন বিবেকানন্দ বলে জানা যায়।
আজ জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনের আসেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ,জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ শিবপ্রেমানন্দজী মহারাজ,বেলুড় মঠের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী যতিশ্বরানন্দজী মহারাজ-সহ অন্যান্যরা। এদিন জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বারক উন্মোচন করতে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় ৷

এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বিশেষ উপদেশ দিয়েছিলেন, ভারতকে বাঁচাতে হবে চারিদিক থেকে। আজ আপনার শুনছেন যুদ্ধ কীভাবে হচ্ছে। চারিদিকে থেকে যুদ্ধ হচ্ছে। ভারতের সীমান্তেও হচ্ছে অন্যান্য সীমান্তেও হচ্ছে। আমেরিকার সাথে যুদ্ধ না হলেও গতানুগতিক ভাবে একটা দ্বন্দ লেগেই আছে। এর কারণ মানুষের মধ্যে সংকীর্ণ ভাব । বেদান্ত বলেছে, আমরা সবাই ভগবানের সন্তান।আমরা যে যেধর্মে আছি সেই ধর্মে থাকতে পারি। তবে একে অপরের সাথে বন্ধুর্ত পুর্ন সম্পর্ক রাখতে হবে। সম্মান দিতে হবে। সেটা থাকলে আমরা সারা জগতের কল্যান করতে পারব।এটা যুবকদের করতে হবে। সব ধর্ম সত্য। আমাদের মানসিক শক্তি বাড়াতে হবে। আমরা ভগবানের এক পরিবার। স্নেহের সাথে আমাদের সাথে থাকব। আমাদের ধর্মের সম্পর্কে গর্ব করতে হবে। ধর্ম সম্পর্ক পড়তে হবে।”